
আদালত প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত মৃত মামুন জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় তদন্ত দায়িত্বে থাকা ৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে আদালত ।
রোববার ১লা নভেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ফেরদৌসের আদালতে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এ বিষয়ে আসামীপক্ষের আইনজীবী এ্যাড.এমদাদ হোসেন সোহেল বলেন, গত ৩০শে সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বদলী হয়ে আসে। ওইদিনই আমরা জানতে পারি মামুন জীবিত ফিরে আদালতে এসেছেন। এরপর আদালত সার্বিক বিবেচনা করে ৩জন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে এই মামলার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন আদালত। সেই অনুযায়ী সেই ব্যাখ্যাটি তারা দাখিল করেছে।
তিনি জানান, আজকে আমরা আসামিদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। বিজ্ঞ আদালত অব্যাহতির বিষয়টি শুনেন। সেই সাথে পরবর্তী কার্য দিবসে (৫ নভেম্বর) ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে স্ব-শরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে মৌখিকভাবে মামলাটির বিস্তারিত দিতে বলেছেন। পরবর্তী তারিখে আসামীদের অব্যহতির বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চার বছর আগে মামুন নামে এক যুবককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছিলেন তার বাবা। প্রথমে তদন্ত করে ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে প্রতিবেদন দেন ফতুল্লা থানার এস আই মিজানুর রহমান।
শুনানি চলাকালে মামুন নিজেই বুধবার হাজির হন বিচারকের সামনে। শুরু হয় বাদী ও বিবাদী পক্ষের হট্টগোল। পরিস্থিতি শান্ত করেন আইনজীবীরা। মামুন জানিয়েছেন, বাবা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন।
২০১৬ সালে চাঁদপুরের মতলবের আবুল কালাম তার ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় পোশাককর্মী তাসলিমা, তার বাবা রহমত উল্লাহ, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর, সোহেল ও ছাত্তার মোল্লাকে।
সেই মামলায় মামুনের কথিত প্রেমিকা আসামী তসলিমা ও তার ভাই রফিক দেড় বছর কারাবাস করেছেন। আর আসামী রকমত আলী, সাগর ও সাত্তার ছিলেন দেড় থেকে তিন মাস।
No posts found.